পৌরাণিক ফুল-১
-----------------
CENTAUREA:

এই ফুলের নাম এসেছে Centaur শব্দটি থেকে। গ্রীক পুরাণ অনুসারে, centaur হল অর্ধ-মানব এবং অর্ধ-অশ্বাকৃতির প্রাণি। এর সামনের দিক মানব আকৃতির এবং পেছনের দিক অশ্বাকৃতির। Chiron নামের একজন জ্ঞানী সেন্টর ছিলেন আরোগ্যদেব এসক্লেপিয়স, মহাবীর একিলিস, জ্যাসন এবং দেবতা এপোলোর শিক্ষক। তিনিই ছিলেন একমাত্র সেন্টর যিনি মানুষের প্রতিও সদয় ছিলেন। টাইটান যুদ্ধে ( টাইটান এবং অলিম্পীয় দেবকুলের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ ) সেন্টরের বিপক্ষে এবং হারকিউলিসের পক্ষে লড়াই করেছিল যোদ্ধা হিরন। কিন্তু হারকিউলিস দুর্ঘটনাবশত হিরনের গোড়ালি বিষাক্ত তীরে বিদ্ধ করে ফেললেন, আর হিরন মারাত্মক আহত হল তাতে। সেন্টর কীরন তখন এই ফুলের নির্যাস দিয়ে তার আহত স্থান সারিয়ে তুললেন।
এই ফুল সাধারণত কর্নফ্লাওয়ার হিসেবেই বেশি পরিচিত। কোথাও কোথাও একে ব্লু-বোটল, হার্টসিকল বা সায়ানি নামেও ডাকা হয়। এটি মুলতঃ যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশে গম, রাই, জব ইত্যাদি শস্যের ক্ষেতে আগাছা হিসেবে জন্মায়। পরে বাণিজ্যিক ভাবে এর চাষ শুরু হয়। শুকানো কর্নফ্লাওয়ার ভেষজ চা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একে বিশেষ উপায়ে পরিশোধিত করে এন্টি-সেপ্টিক ওষুধ বানানো হয়, যা চোখের প্রদাহ সারায় এবং প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কয়েক প্রজাতির কর্নফ্লাওয়ার সালাদে দারুন রঙ নিয়ে আসে। বিভিন্ন পল্লীগাথা অনুসারে, আগে কোন পুরুষ প্রেমে পড়লে সে এই ফুল পরে থাকত। যদি ফুলটি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যেত, তবে ধরে নেয়া হত সে পুরুষ প্রেমের প্রতিদান পাবে না। শোনা যায়, এই ফুল নাকি জন এফ কেনেডির প্রিয় ফুল! 

ikbalkhan196825@gmail.com

Comments